আরোহ যুক্তিবিজ্ঞান: কারণ হতে ছোটো প্রশ্ন উত্তর (SAQ)

দ্বিতীয় অধ্যায় আরোহ যুক্তিবিজ্ঞান: কারণ হতে ছোটো প্রশ্ন উত্তর (SAQ) দেওয়া হল।

দ্বিতীয় অধ্যায় আরোহ যুক্তিবিজ্ঞান: কারণ হতে ছোটো প্রশ্ন উত্তর (SAQ)

1. কারনের শর্ত কয়টি ও কি?

উত্তর:- কারণে শর্ত তিনটি যথা-

  • (ক) আবশ্যিক শর্ত,
  • (খ) পর্যাপ্ত শর্ত,
  • (গ) আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত।

2. কারণ কাকে বলে?

উত্তর:- মিলের মতে কারণ হল কার্যের নিয়ত শর্তান্তরহীন অব্যবহৃত পূর্ববর্তী ঘটনা। যা সদর্থক ও নঞর্থক শর্তের সমষ্টি।

3. আবশ্যিক শর্ত কাকে বলে? বা আবশ্যিক শর্ত রূপে কারণ কী?

উত্তর:- যদি দুটি ঘটনার সম্বন্ধ এমন হয় যে এদের প্রথমটি না ঘটলে দ্বিতীয়টি ঘটেনা। কিন্তু প্রথমটি ঘটলে দ্বিতীয়টি না ঘটতেও পারে। তখন প্রথম ঘটনাটিকে দ্বিতীয় ঘটনার আবশ্যিক শর্ত বলে। যেমন- আগুন হল ধোঁয়া সৃষ্টির আবশ্যিক শর্ত।

4. একটি আবশ্যিক শর্তের দৃষ্টান্ত দাও।

উত্তর:- আগুন হল ধোঁয়া সৃষ্টির আবশ্যিক শর্ত। এখানে আগুন হল পূর্বগামী ঘটনা। আর ধোঁয়া হল অনুগামী ঘটনা। কিন্তু এখানে আগুন না থাকলে ধোঁয়া থাকে না। কিন্তু আগুন থাকলে ধোঁয়া না থাকতেও পারে। যেমন-গ্যাসের উনোন, ইলেকট্রনিক হিটার যখন জ্বালানো হয় তখন তাতে শুধু আগুন থাকে ধোঁয়া থাকে না। তাই আগুন হল ধোঁয়া সৃষ্টির আবশ্যিক শর্ত।

5. ‘ক’ হল ‘খ’ এর আবশ্যিক শর্ত একথার অর্থ কী?

অথবা, A’ হল ‘B’ এর আবশ্যিক শর্ত একথার অর্থ কী?

উত্তর:- ‘ক’ না ঘটলে ‘খ’ ঘটবে না। কিন্তু ‘ক’ ঘটলে ‘খ’ না ঘটতেও পারে। যেমন- মেঘ হল বৃষ্টির আবশ্যিক শর্ত।

6. পর্যাপ্ত শর্ত কাকে বলে?

উত্তর:- যদি দুটি ঘটনার সম্বন্ধ এমন হয় যে প্রথমটি ঘটলেই দ্বিতীয়টি ঘটবে। কিন্তু প্রথমটি না ঘটলেও দ্বিতীয়টি ঘটতে পারে। তখন প্রথম ঘটনাটিকে বলা হয় দ্বিতীয় ঘটনাটির পর্যাপ্ত শর্ত। যেমন- বিষপান মৃত্যুর পর্যাপ্ত শর্ত।

7. পর্যাপ্ত শর্তের একটি উদাহরণ দাও।

উত্তর:- বিষপান হল মৃত্যুর পর্যাপ্ত শর্ত। এখানে বিষপান পূর্বগামী ঘটনা এবং মৃত্যু হল অনুগামী ঘটনা। বিষপান করলে মৃত্যু হয় কিন্তু বিষপান না করলেও মৃত্যু হতে পারে। কারণ মৃত্যু দূর্ঘটনা জনিত, অসুস্থতা জনিত, বার্ধক্যজনিত প্রভৃতি কারণে হতে পারে। তাই বিষপান হল মৃত্যুর পর্যাপ্ত শর্ত।

8. ‘ক’ হল ‘ খ’ এর পর্যাপ্ত শর্ত একথার অর্থ কী?

উত্তর:- ‘ক’ ঘটলেই ‘খ’ ঘটবে, কিন্তু ‘ক’ না ঘটলেও ‘খ’ ঘটতে পারে। যেমন- বৃষ্টি হল মাটি ভেজার পর্যাপ্ত শর্ত।

9. আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত কাকে বলে?

উত্তর:- যদি দুটি ঘটনার সম্বন্ধ এমন হয় যে, প্রথম ঘটনাটি না ঘটলে দ্বিতীয়টি ঘটে না কিন্তু প্রথমটি ঘটলে দ্বিতীয়টি ঘটে। সেক্ষেত্রে প্রথম ঘটনাটিকে দ্বিতীয় ঘটনার আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত বলে। যেমন- ভিজে কাঠে অগ্নি সংযোগ হল ধোঁয়া সৃষ্টির আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত।

10. ‘ক’ হল ‘খ’ এর আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত একথার অর্থ কী?

উত্তর:- ‘ক’ না ঘটলে ‘খ’ ঘটবে না, কিন্তু ‘ক’ ঘটলে ‘খ’ ঘটবে। তখন বলা হয় ‘ক’ ও ‘খ’ হল আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত।যেমন- ভিজে কাঠে অগ্নি সংযোগ হল ধোঁয়া সৃষ্টির আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত।

11. আবশ্যিক শর্ত ও পর্যাপ্ত শর্তের মধ্যে পার্থক্য?

উত্তর:- (1) আবশ্যিক শর্ত না বাচক বাক্যে প্রকাশিত হয়। ‘যদি মেঘ না করে তবে বৃষ্টি হবে না ‘। আর পর্যাপ্ত শর্ত হ্যাঁ বাচক বাক্যে প্রকাশিত হয়। ‘যদি কেউ বিষপান করে তাহলে তার মৃত্যু হবে’।

(2) আবশ্যিক শর্ত অন্য শর্তের নির্ভরশীল। যেমন- আগুন না থাকলে ধোঁয়া থাকবে না। অর্থাৎ ধোঁয়া সৃষ্টির জন্য অন্য শর্ত ভিজে জ্বালানির প্রয়োজন। আর পর্যাপ্ত শর্ত অন্য শর্তের উপর নির্ভরশীল নয়। যেমন-বিষপান করলে মৃত্যু হবে এর জন্য অন্য কোনো শর্তের প্রয়োজন নেই।

12. বহুকারণবাদ কী?

উত্তর:- বহুকারণবাদ কথাটির সাধারণ অর্থ হল একি কার্যের বহু কারণ থাকতে পারে। এই মতবাদ অনুসারে একি কার্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণের দ্বারা উৎপন্ন হতে পারে। মিল বহুকারণবাদ বলতে পর্যাপ্ত শর্তকে বুঝিয়েছেন। যেমন- মৃত্যু এই কথাটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন-বিষপান, জলেডোবা, বার্ধক্যজনিত প্রভৃতি।

13. বহুকারণবাদের সমর্থক কে?

উত্তর:- মিল ও বেইন।

14. বহুকারণবাদ সমন্বয় কাকে বলে?

উত্তর:- যখন একাধিক কারণ একত্রে মিলিত হয়ে একটি মিশ্র কার্য উৎপন্ন করে, তখন ওই মিশ্র কার্যের কারণকে বলা হয় বহুকারণবাদ সমন্বয়। যেমন- যখন একাধিক লোক একসাথে মিলিত হয়ে একটি গাড়ি টানে তখন বহুকারণবাদ সমন্বয়ে কার্যটি সৃষ্টি হয়ে থাকে।

15. এককারণবাদ কাকে বলে?

উত্তর:- Copi এর মতে কোনো কার্যের একাধিক আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত থাকতে পারে না। তেমনি একটি কার্যের একাধিক কারণ ও থাকতে পারে না। এই মতবাদকে বলা হয় এককারণবাদ।

16. এককারণবাদের সমর্থক কে?

উত্তর:- এককারণবাদের সমর্থক হলেন I. M. Copi ।

17. এককারণবাদে কারণকে কীরূপ শর্ত হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে ?

উত্তর:- আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত রূপে বা পর্যাপ্ত আবশ্যিক শর্ত রূপে।

18. বহুকারণবাদের সমস্যার একটি উপায় বা অসুবিধা উল্লেখ কর।

উত্তর:- বহুকারণবাদের সব থেকে বড়ো অসুবিধা হল একটি কার্যের নানা কারণ উল্লেখ করা হলেও মূল কারণকে উপেক্ষা করা হয়। যেমন- মৃত্যু কার্যটি নানা রকম কারণে হতে পারে কিন্তু মূল কারণ যে হৃৎস্পন্দন বন্দ হওয়াই যে মৃত্যুর কারণ তা উপেক্ষা করা হয়েছে।

19. আবশ্যিক শর্ত ও পর্যাপ্ত শর্তের মধ্যে পার্থক্য?

উত্তর:- (1) আবশ্যিক শর্ত না বাচক বাক্যে প্রকাশিত হয়। ‘যদি মেঘ না করে তবে বৃষ্টি হবে না ‘। আর পর্যাপ্ত শর্ত হ্যাঁ বাচক বাক্যে প্রকাশিত হয়। ‘যদি কেউ বিষপান করে তাহলে তার মৃত্যু হবে’।

(2) আবশ্যিক শর্ত অন্য শর্তের নির্ভরশীল। যেমন- আগুন না থাকলে ধোঁয়া থাকবে না। অর্থাৎ ধোঁয়া সৃষ্টির জন্য অন্য শর্ত ভিজে জ্বালানির প্রয়োজন। আর পর্যাপ্ত শর্ত অন্য শর্তের উপর নির্ভরশীল নয়। যেমন-বিষপান করলে মৃত্যু হবে এর জন্য অন্য কোনো শর্তের প্রয়োজন নেই।

20. বহুকারণবাদ কী?

উত্তর:- বহুকারণবাদ কথাটির সাধারণ অর্থ হল একি কার্যের বহু কারণ থাকতে পারে। এই মতবাদ অনুসারে একি কার্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণের দ্বারা উৎপন্ন হতে পারে। মিল বহুকারণবাদ বলতে পর্যাপ্ত শর্তকে বুঝিয়েছেন। যেমন- মৃত্যু এই কথাটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। যেমন-বিষপান, জলেডোবা, বার্ধক্যজনিত প্রভৃতি।

21. বহুকারণবাদের সমর্থক কে?

উত্তর:- মিল ও বেইন।

22. বহুকারণবাদ সমন্বয় কাকে বলে?

উত্তর:- যখন একাধিক কারণ একত্রে মিলিত হয়ে একটি মিশ্র কার্য উৎপন্ন করে, তখন ওই মিশ্র কার্যের কারণকে বলা হয় বহুকারণবাদ সমন্বয়। যেমন- যখন একাধিক লোক একসাথে মিলিত হয়ে একটি গাড়ি টানে তখন বহুকারণবাদ সমন্বয়ে কার্যটি সৃষ্টি হয়ে থাকে।

23. এককারণবাদ কাকে বলে?

উত্তর:- Copi এর মতে কোনো কার্যের একাধিক আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত থাকতে পারে না। তেমনি একটি কার্যের একাধিক কারণ ও থাকতে পারে না। এই মতবাদকে বলা হয় এককারণবাদ।

24. এককারণবাদের সমর্থক কে?

উত্তর:- এককারণবাদের সমর্থক হলেন- I. M. Copi ।

25. এককারণবাদে কারণকে কীরূপ শর্ত হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে?

উত্তর:- আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্ত রূপে বা পর্যাপ্ত আবশ্যিক শর্ত রূপে।

26. বহুকারণবাদের সমস্যার একটি উপায় বা অসুবিধা উল্লেখ কর।

উত্তর:- বহুকারণবাদের সব থেকে বড়ো অসুবিধা হল একটি কার্যের নানা কারণ উল্লেখ করা হলেও মূল কারণকে উপেক্ষা করা হয়। যেমন- মৃত্যু কার্যটি নানা রকম কারণে হতে পারে কিন্তু মূল কারণ যে হৃৎস্পন্দন বন্দ হওয়াই যে মৃত্যুর কারণ তা উপেক্ষা করা হয়েছে।

27. অপসারণের নিয়ম কী?

উত্তর:- যখন আমরা কোনো একটি বিশেষ ঘটনার কারণ আবিষ্কার ও প্রমাণ করতে চাই তখন ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি গ্রহণ করে অপ্রয়োজনীয় ঘটনাগুলিকে বর্জন করে, তখন সেই বর্জন প্রক্রিয়াকে অপসারণের নিয়ম বলে।

28. কারণের গুনগত লক্ষন কী?

উত্তর:- গুনের দিক থেকে কারণ হল কার্যের অব্যবহৃত শর্তান্তরহীন অপরিবর্তনীয় পূর্ববর্তী ঘটনা।

29. কারণের পরিমাণগত লক্ষন কী?

উত্তর:- পরিমানের দিক থেকে কারণ ও কার্য সমান। অর্থাৎ কারনের ভিতরে যে জড় উপাদান ও শক্তি আছে তা কার্যের জড়উপাদান ও শক্তির সমান।

30. শক্তির অবিনশ্বরতা নীতি কী?

উত্তর:- শক্তির অবিনশ্বরতা নিয়ম অনুসারে বলা হয় যে জগতে যে পরিমাণ শক্তি আছে তা অবিনশ্বর। শক্তির রূপান্তর ঘটে মাত্র তা পরিমাণের কোনো হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে না।

31. সদর্থক শর্ত কাকে বলে?

উত্তর:- যে শর্তগুলি উপস্থিত না থাকলে কার্যটি ঘটতে পারে না সেগুলিকে সদর্থক শর্ত বলে। অর্থাৎ সদর্থক শর্ত হল সেই শর্ত যেটি উপস্থিত থাকলে কার্যটি ঘটে। কাজেই সদর্থক শর্ত হল কার্য সৃষ্টির অনুকূল।

32. নঞর্থক শর্ত কাকে বলে?

উত্তর:- নঞর্থক শর্ত হল সেই শর্ত যে, শর্ত অনুপস্থিত থেকে কার্যকে ঘটায়। কাজেই নঞর্থক শর্ত হলো কার্য সৃষ্টির পক্ষে প্রতিকূল।

33. মিল কারণকে কোন শর্ত গ্রহণ করেছেন?

উত্তর:- মিল কারণকে সদর্থক ও নঞর্থক শর্তে গ্রহণ করেছেন।

34. এককারণবাদে কারণ কথাটি কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ?

উত্তর:- আবশ্যিক পর্যাপ্ত শর্তে ব্যবহৃত হয়েছে।

35. কারণ ও শর্তের মধ্যে পার্থক্য কর।

উত্তর:- মিলের মতে কারণ হল সমর্থন এবং নঞর্থক শর্ত সমূহের সমষ্টি। আর কার্ভেথ রীডের মতে শর্ত হল কারণের এমন এক অপরিহার্য অংশ যা কার্য সৃষ্টির সহায়ক।।

36. আবশ্যিক শর্ত এবং পর্যাপ্ত শর্তের মধ্যে পার্থক্য কর।

উত্তর:- (a) আবশ্যিক শর্ত না বাচক বাক্যে প্রকাশিত হয়। যেমন- যদি মেঘ না করে তাহলে বৃষ্টি হবে না। আর পর্যাপ্ত শর্ত হ্যাঁ বাচক বাক্যে প্রকাশিত হয়। যেমন-যদি কেউ বিষপান করে তাহলে তার মৃত্যু হবে।

(b) আবশ্যিক শর্ত অন্য শর্তের উপর নির্ভরশীল। যেমন- আগুন না থাকলে ধোঁয়া থাকবে না। কিন্তু ধোঁয়া সৃষ্টির জন্য আগুনের সঙ্গে অন্য শর্ত অর্থাৎ ভিজে জ্বালানীর প্রয়োজন। আর পর্যাপ্ত শর্ত অন্য কোন শর্তের উপর নির্ভরশীল নয়। যেমন- বিষপান করলে মৃত্যু হবে। এর জন্য অন্য কোনো শর্তের প্রয়োজন নেই।

37. স্থায়ী কারণ কাকে বলে?

উত্তর:- যে সব ঘটনাকে সম্পূর্ণ ভাবে অপসারণ করা সম্ভব হয় না মিল তাদের নাম দিয়েছেন স্থায়ী কারণ। যেমন- উত্তাপ, বায়ুমণ্ডলীয় চাপ, মাধ্যাকর্ষণ ইত্যাদি

38. শর্ত কাকে বলে?

উত্তর:- কার্ভেথ রীডের মতে শর্ত হল কারনের এমন এক অপরিহার্য অংশ যা কার্য সৃষ্টির পক্ষে একান্ত প্রয়োজনীয়। অর্থাৎ যা কার্য সৃষ্টির সহায়ক তাই শর্ত।

39. কারণ সম্পর্কীয় লৌকিক অভিমত কী?

উত্তর:- দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন ঘটনার ব্যাখ্যা বৈজ্ঞানিক কার্য-কারন নিয়ম ছাড়াই লৌকিক অভিমতে দিয়ে থাকি। আর এই সব কারণকে বলা হয় লৌকিক অভিমত। যেমন- আকাশে কালো মেঘ দেখে বৃষ্টি হবে বলে অনেকে মনে করেন।

40. জড়বস্তুর অবিনশ্বরতা নীতি কী?

উত্তর:- বস্তুর অবিনশ্বরতা নিয়ম অনুসারে বলা হয় যে এই পৃথিবীতে যে বস্তু আছে তার পরিমাণ অবিনশ্বর। বস্তু এক আকার থেকে অন্য আকারে পরিণত হতে পারে। কিন্তু বস্তুর পরিমানের কোনো হ্রাস বৃদ্ধি ঘটে না। যেমন- হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন মিশিয়ে জল তৈরী করা হয়। এক্ষেত্রে রূপের পরিবর্তন ঘটে। কিন্তু পরিমানের দিক থেকে জলের পরিমাণ সমান থাকে।

41. কোন ধরনের শর্তে কারণের অভাব থেকে কার্যের অভাব অনুমিত হয়।

উত্তর:- আবশ্যিক শর্তে কারণের অভাব থেকে কার্যের অভাব অনুমিত হয়।

42. কার্যকারনের পরিমানগত সমতা কোন দুটি নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত।

উত্তর:- জড়সংরক্ষনের নীতি এবং শক্তির নিত্যতা নীতি।

43. শর্তকে কারণ বলা হয় কেন?

উত্তর:- কারণ হল শর্তের সমষ্টি। শর্ত হল কারনের এক অপরিহার্য অংশ। কার্য সৃষ্টির জন্য কারণ একান্ত ভাবে প্রয়োজন এবং কারণ সৃষ্টির জন্য শর্ত একান্ত ভাবে প্রয়োজন। তাই শর্তকে কারণ বলা হয়।

44. কার্য কারণ নীতির মূল বক্তব্য কী?

উত্তর:- বিনা কারণে কোনো ঘটনা ঘটে না। প্রতিটি ঘটনার পিছনে কোনো না কোনো কারণ থাকে। এটি হল কার্য কারণ নিয়মের মূল বক্তব্য।

আরোও পড়ুন

আরোহ যুক্তিবিজ্ঞান: কারণ হতে ছোটো প্রশ্ন উত্তর (MCQ)

Leave a Comment